রক্তাক্ত একুশ

২১শে ফেব্রুয়ারী (ফেব্রুয়ারী ২০১২)

Sisir kumar gain
  • ২৭
  • 0
  • ৩২
অনেক রাত করে বাসায় ফিরল কারিম। রিক্সাটা বারান্দায় উঠিয়ে, খুঠির সাথে তালা দিয়ে রাখল সে। ছোট্ট ছেলেটা ক্ষুধার জ্বালায় কাঁদতে কাঁদতে ঘুমিয়ে পড়েছে সেই কখন! পাশে মা আমিনা শুয়ে আছে, ছেলের কোল ঘেসে। চক্ষু দুটি কোঠরাগত,শীর্ণ চেহারা, মৃতপ্রায়। শিয়রে রাখা হারিকেন থেকে মৃদু আলো ছড়িয়ে পড়ছে তার মুখে। আধো আলো-অন্ধকারে করিমের মনে হল, হতভাগী যেন মৃত্যুর জন্য প্রহর গুনছে। সে আস্তে করে ডাকল,-‘‘হাসানের মা, ও হাসানের মা । ঘুমাইয়া পড়ছ নি?
না, অহনো ঘুমাই নাই।’’-অশফুট স্বরে বলল আমিনা । তোমার হাসান হেই হন্দার তন খিদার জ্বালায় কাঁনতে কাঁনতে ঘুমাইয়া গ্যাছে। ঘরে তো চাউল নাই। আইজ আমার শরীলডা ও ভালা না। জ্বর আর বুহের ব্যাথাডা আরো বাইরা গ্যাছে। সাথে কাশিও আছে।

-কি আর করুম বউ! তোমার শরীলডা ভালা না। দুই বেলা দুই মুঠ ভাতই জোগাড় করতে পারিনা, আবার
ওষুধ!
-হু্ণলাম, শহরে কি সব ঝামেলা চলতাছে।

হ!ঠিকই হুনছ। আমরা নাকি আর বাংলা ভাষায় কতা কইতে পারুম না। উর্দুই এদেশের একমাত্র ভাষা অইব।ওরা আমাদের মুহের ভাষা, কাইড়া নিতে চায়।
করিম আর কথা না বাড়িয়ে,ঘরের কোনে রাখা মাটির কলশি থেকে গ্লাশে পানি ঢেলে, পান করল। তারপর্‌আলো নিভিয়ে ছেলের পাশে সুয়ে পড়ল চুপ চাপ।কিন্তু ঘুম এলোনা সহজে।

পরদিন একটু বেলা করেই ঘুম ভাঙল তার। হাত-মুখ ধুয়ে বাজারের ব্যাগটা নিয়ে তাড়াতাড়ি বেড়িয়ে পড়ল সে। ছেলেটা তখনও ঘুমিয়ে রইল। করিমের বড় ইচ্ছা হচ্ছিল ছেলেকে ডাকার।কিন্তু ডাকল না। ঘুম থেকে উঠেই যদি খেতে চায়!একটু এগিয়ে রেল লাইনটা পার হয়ে, সে সোজা হাটল বাজারের দিকে। বাজার করে ফেরার সময় দোকানিদের কাছে শুনল, আগামিকাল অফিশ-আদালত,দোকান-পাট সব বন্ধ থাকবে। শহরে কারফু জারি করা হয়েছে! গরীব রিক্সা চালক সে। রিক্সার প্যাডেল না ঘুরালে, তার সংসার চলে না। এসব কথা ভাবতে ভাবতে, পথ চলতে লাগল কারিম। পকেট থেকে একটা বিড়ি বের করে, রাস্তার পাসের পানের দোকান থেকে ধরিয়ে নিল সে। এবার একটু পা চালাল দ্রুত। বাসার সবাই না খেয়ে বসে আছে,তার দিকে পথ চেয়ে। কয়েক মিনিটের মধ্যেই সে এসে পড়ল পাড়ার রাস্তাটার মুখে। দূর থেকে তাকে দেখতে পেয়েই, হাসান এক দৌড়ে এসে বাবার হাত ধরল।

-কই আব্বা, আমার লাইগা বই আনছো? রোজ রোজই কও, ‘‘বই কিনা দিমু।’’ আইজ কিন্তু বই দেওনই লাগব। অ-আ, ক-খ এর বই।

আইজও ভুইলা গেছি বাপ! কাইল ঠিকই ফেরার পথে তো্মার লাইগা বই কিনা আনুম।
-হ। রোজ রোজ তুমি একই কতা কও।
এক হাতে বাজারের ব্যাগ ও অন্য হাতে হাসানের হাত ধরে বাসায় ঢুকল করিম। স্বামীর হাতে বাজারের থলে দেখে, মৃদৃ হাসল আমিনা।
হয়ত মনে মনে ভাবল, ছেলেকে এবেলা পেট পুড়ে খাওয়তে পারবে সে। তাড়াতাড়ি করে বাজারের ব্যাগটা স্বামীর হাত থেকে নিয়ে রান্না ঘরে ঢুকল। চাল ধুয়ে মাটির হাড়িতে বসিয়ে দিয়ে তরকারি কুটতে বসল সে। হাসান এক পা, দু পা করে এসে বসল মায়ের পাসে।
-জানো মা,কাইল বাজানে ফেরার পথে আমার লাইগা বই কিন্যা আনবো।আমি হেই বই দেইখা অ- আ- ক -খ পড়ুম।
আচছা বাপ, ঠিক আছে। তরকারি কাটতে কাটতে ছেলের কথায় সায় দেয় আমিনা। করুন নেত্রে তাকায় একবার ছেলের মুখের দিকে। একটা দীর্ঘশ্বাস বেড়িয়ে আসে তার বুকের গভির থেকে। বোধহয় বুকটা একটু হাল্কা হয় তার। মনে মনে সে হয়তো ভাবে, এই ছেলেই একদিন পড়ালেখা শিখে বড় হবে। মানুষের মত মানুষ হবে। তখন তাদের আর কোন দুঃখ থাকবে না।

মায়ের মুখের দিকে তাকিয়ে হাসান বলে-‘‘তুমি, কি ভাবছো মা”?
-কিচছু না বাপ, এমনি!
ভাতের হাড়িটার ঢাকনা সরিয়ে, চামচে ভাত নিয়ে টিপে দেখল সে। হ্যা, ঠিক মত ফুটেছে ভাত। তাড়াতাড়ি করে চুলার উপর থেকে
হাড়িটা নামিয়ে, মাড় কাড়া পাত্রের উপর উবুড় করে রাখে আমিনা।

- ফ্যান কাড়া অইলে আমারে একটু ফ্যান দিবা? নুন দিয়া খামু।
ছেলের কথা শুনে, আমিনার চোখের কোনে দুফোটা অশ্রুবিন্দু যেন , মুক্তোর মত জ্বল-জ্বল করতে লাগল।অন্য দিকে ফিরে, সে
আচলে চোখ মুছল।এ অশ্রু আনন্দের নাকি বেদনার, তা সে বুঝতে পারল না।

মাটির বাসনে ভাথ বাড়তে বাড়তে সে ডাকল-‘‘হাসানের বাপ, ও হাসানের বাপ। ভাত বাড়ছি, খাইয়া লও।’’

আমিনার ডাকে স্বম্বিত ফিরে পেল করিম। কাল শহরে কারফু জারি করা হয়েছে।রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বের হলে সওয়ারী খুব একটা মিলবে
কিনা সন্দেহ!তার পর শহেরর যা উত্তাল অবস্থা!পাকিস্তানী সাশকদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে ছাত্র-জনতার মিটং-মিছল প্রতিদিন চলছেই।
কখন কি হয়, কে যানে? এসব ভাবনা বাদ দিয়ে তাড়াতাড়ি উঠে পড়ল করিম। বেলা অনেক হয়েছে।দুমুঠো খেয়ে রাস্তায় বেড়োতে হবে তাকে। কালকের কথা কিছু বলা যায় না। দুমুঠো খেয়ে, রিক্সাটা নিয়ে বেড়িয়ে পড়ল সে, সোজা নিউ মার্কেটের দিকে। নীল ক্ষেত মোড়ে ঢুকতেই পুলিশের টহল গাড়ি লক্ষ্য করল। সারা শহরে থমথমে ভাব। চির পরিচিত ঢাকা আজ যেন অচেনা লাগে তার কাছে। সবাই কি নিয়ে যেন কানাঘুসো করছে। মূর্খ করিম বুঝতে পারে না সব। তবে সে এটুকু বুঝতে পারে ,ভাষা নিয়ে একটা ষড়যন্ত্র হচ্ছে। সবাই যেন, সেই ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে একজোট।
এসব ভাবতে ভাবতে এবার একটু জোরে পা চালাল কারিম। রিক্সার গতিও গেল বেড়ে। বলাকা সিনেমা হলের সামনে থামল রিক্সাটা। সো সুরু হতে তখনো বেশ বাকি। দর্শকদের ভিড়ও তেমন একটা দেখা গেল না। রিক্সার ছিটের উপর বসে একটা বিড়ি ধরাল সে। তারপর মৃদু মৃদু টানতে লাগল। আজ মনটা ভাল নেই তার। এমন সময় পিছন থেকে ডাক শুনতে পেল-এই রিক্সা, সদরঘাট যাবেন?
-হ,যামু।
কোন কথা না বাড়িয়ে, রিক্সায় উঠে বসল ছেলেটি। পরনে পায়জামা-পাঞ্জাবি। বয়স বিশ-পঁচিশ হবে।হাল্কা-পাতলা, ছিপচিপে গঠন। কিন্তু চোখের দৃস্টি দৃঢ়-প্রত্যয়ী। কারিম ঠিক পড়তে পারল না সেই চোখের ভাষা। রিক্সা ঘুরিয়ে সদর ঘাটের দিকে এগোতে লাগল সে। কিছুদূর যেতেই খট করে রিক্সার চেন পড়ে গেল। অগত্যা রিক্সা থেকে নেমে, চেনটা ঠিক করে নিল সে। তারপর আবার রিক্সার ছিটে চড়ে বসল। ধীরে ধীরে চলতে লাগল রিক্সা।
একটু গা লাগিয়ে চালাও ভাই।আমাকে আবার তাড়াতাড়ি ফিরতে হবে ক্যাম্পাসে।
করিম পিছন ফিরে তাকাল একবার। তারপর দ্রুত প্যাডেল ঘুরাতে লাগল।এবার হাওয়ার বেগে চলতে লাগল রিক্সা।
‘হুনলাম আগামি কাল নাকি শহরে কারফু দিবো?”-জিজ্ঞেস করল করিম।

হ্যা,ঠিকই শুনেছেন।আমরাও ছেড়ে দেব না। ওরা ভেবেছে বাঙ্গালীরা ভিতুর জাত। কিন্তু না। আমরা মাস্টারদা সূর্য সেন, ক্ষুদিরামের বংশধর। ভাষার জন্য প্রয়জনে রক্ত দেব,তবু মাতৃভাষার দাবি আমরা ছাড়ব না। দেখতে দেখতে লঞ্চ ঘাটে এসে গেল তারা। ভাড়া মিটিয়ে নেমে পড়ল ছেলেটি। তার চোখের দৃস্টি তখনও আগের মতই। একটু এগিয়ে হাতের বামের গলি দিয়ে ঢুকে পড়ল সে। যতদূর চোখ যায়,সেদিকে তাকিয়ে রইল করিম। তারপর একসময় অদৃশ্য হয়ে গেল ছেলেটি।
এবার ভাবনায় নতুন মাত্রা যোগ হল করিমের। পকেট থেকে একটা বিড়ি বের করে, দিয়াশলাই কাঠি ঘসে ধরিয়ে নিল সে। তারপর আলতো একটা টান মেরে, বিড় বিড় করে কি যেন বলতে লাগল।
ফেরার পথে বিশ্ববিদ্যালয় চত্তরে ছাত্রদের স্লোগান শুনতে পেল করিম। ‘‘তোমার ভাষা, আমার ভাষা। বাংলা ভাষা, বাংলা ভাষা। রাস্ট্র ভাষা, রাস্ট্র ভাষা। বাংলা চাই,বাংলা চাই।’’ -শ্লোগান শুনে তার বুকটা গর্বে ভরে উঠল। আর ঠিক তখনি, কেন যেন তার মনে পড়ে গেল, হাসানের কথা। তাকে বই কিনে দিতে হবে। অ-আ-ক-খ এর বই। সময় নস্ট না করে, রিক্সা নিয়ে সে নীল ক্ষেতের মোড়ে এল। এ দোকান, সে দোকান ঘুরে, অবশেষে ছেলের জন্য একটা বর্ণমালার বই কিনল সে। উল্টে পালটে দেখল ভাল করে বইটা। ভিতরে অনেক সুন্দর সুন্দর ছবিও আছে। পড়তে না পারলেও বইটা করিমের পছন্দ হল। আজ আর দেরি করল না সে। রিক্সা নিয়ে সোজা চলে এল রেল কলোনির পাসের বস্তিতে। যেখানে তার বাসা, ছোট থেকে বড় হওয়া। সে যেভাবে বড় হয়েছে, ঝোপ-জঙ্গলে বেড়ে উঠা আগাছার মত, অযতনে-অবহেলায়। কিন্তু ছেলের বেলায় তা হতে দেবে না সে। ছেলেকে লেখা পড়া শিখিয়ে মানুষ করে গড়ে তুলবে। বড় হয়ে, তাকে যেন তার মত, রিক্সা চালাতে না হয়। আজ দূ্র থেকেই কারিম, ডাকল ছেলেকে- ‘‘বাজান, ও বাজান। এই দ্যাহো, আইজ আমি তোমার লাইগ্যা কি আনছি?”
বাবার গলা শুনে, হাসান তাড়াতড়ি দৌড়ে বেড়িয়ে এল ঘর থেকে। নতুন বই পেয়ে তার যে কি আনন্দ। যেন সে ঈদের চাঁদ হাতে পেয়েছে!

ছেলেকে স্কুলে ভর্তি করতে হবে। বই-খাতা, কাগজ-কলম কিনে দিতে হবে। সাহেবদের ছেলেদের মত পোশাক কিনে দিতে হবে। যা তা পোশাক পরে তো আর, ছেলে স্কুলে যেতে পারবে না। তাই টাকার তার বড় প্রয়োজন। একটি দিনও এখন কামাই করতে রাজি নয় সে। তাই পরের দিনও রিক্সা নিয়ে বেড়োনোর সিদ্ধান্ত নিল সে, মনে মনে। বাড়িতে বসে থেকে কি লাভ? যদি দুপয়সা আয় হয় ।সেই আসায় পরদিনও রিক্সা নিয়ে রাস্তায় বেড়িয়ে পরল করিম। সমস্ত রাস্তা-ঘাট ফাঁকা। লোক-জন নেই বললেই চলে। ধীরে ধীরে এগিয়ে যেতে লাগল করিম। রাস্তার মোড়ে দু এক জায়গায় পুলিশের টহল গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকতে দেখল সে। আরও সামনে এগিয়ে গেল সে। মোড় ঘুরে এগুতেই শুনতে পেল সেই শ্লোগান।
রাস্ট্র ভাষা, রাস্ট্র ভাষা। বাংলা চাই, বাংলা চাই। তোমার আমার ঠিকানা, পদ্মা মেঘনা যমুনা। রাস্তার কোল ঘেসে এগুতে লাগল সে। দেখতে পেল বিশাল জন সমুদ্র। সেও ধীর গটিতে রিক্সা চালাতে লাগল, মিছিলের সাথে সাথে। বুকটা যেন তার গর্বে ভরে উঠল। ঢাকা মেডিকেলের সামনে আসার সাথে সাথেই, বিপরীত দিকে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশের বন্দুক গর্জে উঠল। প্রচন্ড গোলাগুলিতে দিক-বিদিক জ্ঞান শূন্য হয়ে, যে যেদিকে পারল ছুটল্‌,প্রাণ ভয়ে। মুহুর্তে ফাঁকা হয়ে গেল রাস্তা। সুধু পড়ে রইল কয়েকটি লাশ। রক্তে রঞ্জিত হল পিচ ঢালা রাজপথ। রফিক, সফিক ,বরকত, সালাম, জব্বার ও আরও আনেক নাম না জানা লাশের ভিড়ে, হারিয়ে গেল করিম। পাসে নিরবে দাঁড়িয়ে রইল তার রিক্সাট।যেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত প্রভু ভক্ত ঘোড়া।
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
মিলন বনিক সুন্দর ও সাবলীল উপস্থাপন। সংলাপগুলোও বেশ জোড়ালো তাই ভালো লাগল। শুভ কামনা থাকলো আরো ভালো করার জন্য......
ভালো লাগেনি ২৮ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
ধন্যবাদ, আপনার মতামত জানানোর জন্য।
জালাল উদ্দিন মুহম্মদ উপস্থাপন সুন্দর । সংলাপগুলো জোড়ালো। ভালো লাগল বেশ। শুভেচ্ছা নিন।
ভালো লাগেনি ২৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
ধন্যবাদ, গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য।
amar ami সব ধরনের মানুষ যুদ্ধ করেছে একাত্তরে, ভাষা আন্দোলনটাও অনেকটা সেরকমই ...অনেক পড়া এমন গল্প তবুও বারবার পড়তে ভালই লাগে গর্বের, সাথে কষ্টের এই কাহিনী
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
আমার আমি ,গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২৫ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
ইবনে ইউসুফ সুন্দর গল্প, তবে আরো পরিণত হতে হবে। সত্য ঘটনার গল্প সত্য দিয়েই প্রতিষ্ঠিত করতে হয়। সেখানে অন্য কোন গল্প জুড়ে না দেওয়াই ভালো। ধন্যবাদ।
ভালো লাগেনি ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
ইবনে ইউসুপ, আমার গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। সত্যের মাঝেও তো অনেক, অজানা সত্য লুকিয়ে থাকতে পারে। আমার লেখায়, তারই আভাষ পাওয়া যায়। শুভ কামনা।
আসন্ন আশফাক "রফিক, সফিক ,বরকত, সালাম, জব্বার ও আরও আনেক নাম না জানা লাশের ভিড়ে, হারিয়ে গেল করিম। পাসে নিরবে দাঁড়িয়ে রইল তার রিক্সাট।যেন যুদ্ধ ক্ষেত্রে বিশ্বস্ত প্রভু ভক্ত ঘোড়া। " আমার যা শিউরে উঠলো কেন জানি. অনেক আবেগ প্রকাশ পেয়েছে , অসাধারণ
ভালো লাগেনি ২২ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
প্রনয় পীড়িত ভাই, গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
মামুন ম. আজিজ বর্তমানকালে বসে সেই দিনের গল্প লেখা অনেক কঠিন। কঠিন কর্ম টি করেছেন। ধন্যবাদ
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
মামুন ম. আজিজ ভাই, গল্প পড়ে মন্তব্য করেছেন বলে ধন্যবাদ। শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ১৯ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
Dr. Zayed Bin Zakir (Shawon) অনেক ভালো লেগেছে গল্পটা
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
জায়েদ বিন জাকির ভাই,ধন্যবাদ আমার গল্প পড়ে মন্ত্যব্য করার জন্য। গল্পটা আপনার ভাল লেগেছে জেনে আমারও খুব ভাল লাগছে। শুভ কামনা।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
Sisir kumar gain সালেহ মাহমুদ ভাই,গল্প পড়ে মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ। শুভ কামনা ।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
Sisir kumar gain খন্দকার আনিসুর রহমান ভাই, গল্প পড়ে মন্তব্য্ করার জন্য্, আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ। এটি আমার প্রথম লেখা গল্প বললে,ভুল বলা হবে। দশম শ্রেনীতে পড়ার সময় স্কুল ম্যাগাজিনে একবার গল্প লিখেছিলাম। সে ২০\২২ বছর আগের কথা। সেই হিসেবে এটি দ্বিতীয় লেখা। তবে আপনাদের মত গুনী জনের উৎসাহ ও দোয়া পেলে অবশ্যই ভাল লিখতে পারব আশা করি। শুভ কামনা রইল।
ভালো লাগেনি ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০১২
সালেহ মাহমুদ সুন্দর হয়েছে, তবে আরো ভালো করতে হবে।
ভালো লাগেনি ১৬ ফেব্রুয়ারী, ২০১২

১৭ জানুয়ারী - ২০১২ গল্প/কবিতা: ১৬ টি

বিজ্ঞপ্তি

এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।

প্রতি মাসেই পুরস্কার

বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।

লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন

  • প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
  • তৃতীয় পুরস্কার সনদপত্র।

আগামী সংখ্যার বিষয়

গল্পের বিষয় "স্থিতিশীলতা”
কবিতার বিষয় "স্থিতিশীলতা”
লেখা জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২৫ নভেম্বর,২০২৪